তরুণ ক্রিকেটাররা চাপ নিতে শিখবে কবে, ক্ষেপেছেন সুজন

|

মানসিকতার ঘাটতির কারণেই চাপ নেয়া শেখেনি বাংলাদেশের ইয়াংস্টাররা, বললেন সুজন।

বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের উপর ক্ষেপেছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলের চাপ নিতে না পারলে ক্রিকেটাররা কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ক্রিজে ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্তহীনতা নিয়েও কথা বলেছেন বরিশালের এই কোচ।

বিপিএলের ফাইনালে নিজেদের দায়িত্বটা পালন করেছেন ক্রিস গেইল আর সৈকত আলি। এই দুজন যখন ফিরলেন তখন পাল্লাটা বরিশালের দিকেই ছিল ভারি। এরপর দলের অন্যতম ভরসা সাকিব আল হাসান নামেন মাঠে। স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করতে গিয়েই দ্রুত সাজঘরে ফিরতে হয় বরিশাল অধিনায়ককে। ১৪ ওভার ৩ বলে ১১৭ রান তখন বরিশালের। জয়ের জন্য হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৩৩ বলে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ক্রিজে থাকা জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হাসান শান্ত সহজেই ম্যাচটা শেষ করে আসবেন, এমনটা হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। তবে এই দায়িত্বের ভারটা এমনই ভারি হলো দুই ব্যাটারের জন্য যে, ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে রানআউট হলেন নুরুল হাসান সোহান।

আরেক প্রান্তে থাকা নাজমুল শান্ত যেন বাউন্ডারির পথটাই ভুলে গিয়েছিলেন। ১৮ বলে ১৮ রানের সমীকরণকে তিনি নিয়ে গেলেন ১২ বলে ১৬ রানের সমীকরণে। কঠিন করে তোলা ম্যাচটায় এই বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন মোস্তাফিজের বলে। আর ক্রমশ কালো হচ্ছিলো বরিশালের ড্রেসিংরুমের মুখগুলো।

বরিশালের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমার মনে হয় মানসিকভাবে কোথাও আটকে আছে তারা। টেকনিকে কোনো সমস্যা নেই, প্র্যাকটিসেও দারুণ ব্যাট করছে। শুধু মাঠে গেলেই যেন কী হয়! কোচের পক্ষে প্লেয়ারের মাথায় ঢুকে এসব ঠিক করা সম্ভব না। এটা খেলোয়াড়ের নিজেকেই ঠিক করতে হবে। গেম সেন্স এবং অ্যাটিট্যুডের ঘাটতি বোধহয় আমাদের রয়েই গেছে।

বিপিএলের মতো আসরে চেনা কন্ডিশনে নিজেদের মুঠোয় থাকা ম্যাচের চাপকে মহাচাপে রূপান্তর করা ক্রিকেটাররা কীভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপকে মোকাবেলা করবেন, তা নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের দুশ্চিন্তার তাই আছে শক্ত ভিত্তি।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হবার ৮ দিন পরও পজেটিভ জেমি সিডন্স


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply