লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে মাধা ন্যাড়া করে নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ১৫ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বজনরা উদ্ধার করলেও এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা হয়নি। আটকও হয়নি কেউ। বর্তমানে ওই গৃহবধূ শশুরবাড়ি এলাকারই এক প্রতিবেশীর ঘরে আশ্রিত রয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, সাড়ে ৩ বছর আগে ভোলার ইলিশা এলাকার বাসিন্দা ওই নারীর বিয়ে হয় লক্ষ্মীপুর সদরের বাসিন্দা হাসানের। বিয়ের কিছুদিন পরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তার শ্বাশুড়ি, ননদ ও স্বামী হাসান। দরিদ্র বাবা যৌতুকের টাকা দেওয়ার সামর্থ না থাকায় নীরবে নির্যাতন সহ্য করে আসছিল রুমা।
গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে দাবিকৃত তিন লাখ টাকা না দেয়ায় স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদ তাকে হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে কৌশলে আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানায় সে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই নারী প্রতিবেশীর কাছে আশ্রিত রয়েছে।
এদিকে যৌতুক দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেন ভুক্তভোগীর ননদ পাখি বেগম। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে ওই নারীর চুল কেটে দেয় তার স্বামী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিম কর্মকর্তা।
/এডব্লিউ
Leave a reply