মীর মুশফিক:
রুশ-ইউক্রেন সংকটের কারণে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শরণার্থীদের সংখ্যা। রাশিয়ার রুোস্তভ প্রদেশেই গেল তিনদিনে আশ্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনের ১০ হাজার মানুষ। রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের প্রতিটি শহর থেকেই বেসামরিক নাগরিকরা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, রাশিয়া- ইউক্রেন সংঘাতের কারণে শরণার্থীর সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়াতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ প্রদেশ রোস্তভ। সীমান্ত পার হয়ে কিছুদুর এগোলেই চোখে পড়ে এমন ক্যাম্প, যেখানে ইউক্রেনের শরণার্থীদের দীর্ঘ লাইন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ উত্তেজনার কারণে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদেই রাশিয়ায় আশ্রয়ের খোঁজে সাধারণ মানুষ। গেল তিনদিনে ১০ হাজারের বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন এই ক্যাম্পে।
রোস্তভ প্রদেশের গভর্নর ভ্যাসিলি ইউরোভিচ বলেন, এই অসহায় মানুষদের আশ্রয় দেয়ার জন্য রাশিয়ার দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন এসব আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে চলছে গোলাবর্ষণ। জীবন রক্ষায় কোনো রকমে সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন এসব অসহায় মানুষ। সবচেয়ে সংকটে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
কয়েকজন শরণার্থী জানান, আমাদের বাড়ির সামনে গোলার বিস্ফোরণ হয়। এরপরই আমরা এখানে ছুটে আসি। ওই ঘটনায় আমার ছেলে এতোটাই ভয় পেয়েছে যে ঘুমের মাঝেও সে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের স্কুল এবং ইনডোর স্টেডিয়ামগুলোয় করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। কি পরিমাণ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সে বিষয়ে কিয়েভ কিংবা মস্কোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না থাকলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে এ সংখ্যা হতে পারে ১ লাখের কাছাকাছি। সংকটে থাকা শরণার্থীরা চাইছেন রাশিয়ার স্বীকৃতি। এ অবস্থায় শরণার্থীদের সংখ্যা ৭ লাখ পর্যন্ত ছাড়াতে পারে বলে শঙ্কা করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
ইউএইচ/
Leave a reply