রশিদ-মুজিবদের নিয়ে খেলছেন লিটন-মুশফিক

|

ছবি: সংগৃহীত

আফগান বোলিং নিয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে যে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল সিরিজের শুরুতে, দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত অন্তত সেই ভয়ের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে লিটন দাসের চেয়েও যেন বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট জুটিতে বেশি আগ্রাসী মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশি ওপেনারের পরেই মিস্টার ডিপেন্ডেবল তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। আর এই দুই ডানহাতি ব্যাটারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথেই আছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনটি লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। প্রথম থেকেই তামিম ও লিটনের ব্যাট চলছিল সাবলীল ঢঙে। তবে অফ স্ট্যাম্পের ঠিক বাইরে পিচ করা ফজলহক ফারুকির ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন ২৪ বলে ১২ রান করা তামিম। এরপর ক্রিজে এসে লিটন দাসের দাসের সাথে ৫৪ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে সাকিব করেন ৩৬ বলে ২০ রান।

সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটির প্রথম দিকে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। মুজিব-রশিদ-নবিদের দারুণ দক্ষতার সাথেই সামলে এই ওপেনার এগিয়ে যাচ্ছেন শতক হাঁকানোর পথে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লিটন ব্যাট করছিলেন ৯৮ বলে ৮৯ রান নিয়ে। অন্যদিকে, প্রথমে কিছুটা সময় নিয়ে ক্রিজে থিতু হয়ে আফগান বোলারদের তুলোধুনো করতে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। স্পিনে পায়ের দারুণ ব্যবহারে স্লগ সুইপের অনুপম পসরা সাজান চট্টগ্রামের মাঠে। এই দুজনের জুটিতে এখনও পর্যন্ত ১৩১ রান। মুশফিক ব্যাট করছেন ৭০ বলে ৬২ রান নিয়ে।

আরও পড়ুন: সাকিবকে ফিরিয়ে বদলা নিলেন রশিদ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply