ইউক্রেনে হামলার আগেই কৃষ্ণসাগর থেকে চলে যায় ন্যাটোর যুদ্ধজাহাজ

|

ছবি: সংগৃহীত

জানুয়ারির শুরুর দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা যখন চরমে, সে সময় কৃষ্ণসাগর ছেড়ে যায় ন্যাটোর সদস্যদেশ ফ্রান্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। কৃষ্ণসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশিতে এ মুহূর্তে রুশ যুদ্ধজাহাজ টহল দিচ্ছে। তবে সেখানে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো উপস্থিতি নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোটের কোনো জাহাজ সেখানে নেই। কৃষ্ণসাগরে এখন রাশিয়ার নৌবাহিনীর ১৬টি সামরিক নৌযান টহল দিচ্ছে। কৃষ্ণসাগরে রাশিয়াকে মোকাবিলায় পশ্চিমাদের অবস্থান নিয়ে কূটনীতিক, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ন্যাটোর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক জানিয়েছেন, এই সাগরে রুশ নৌবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়ে ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। ফলে এ অঞ্চল নিয়ে ন্যাটোর একটি পরিষ্কার ও অর্থপূর্ণ কৌশলের ঘাটতি দেখা গেছে।

তবে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ইউরোপের উত্তরাঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত ন্যাটোর ১২০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ ও একশ’র বেশি যুদ্ধবিমান উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক স্টিফেন ফ্লানাগান বলেন, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সেনাদের উপস্থিতি ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুশ নৌবহরের আধুনিকায়নের ফলে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য রাশিয়ার অনুকূলে গেছে। এ মুহূর্তে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার বড় যুদ্ধজাহাজগুলো অবস্থান করছে। এর ফলে ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে রুশ বাহিনী ভয়ানক হয়ে উঠেছে।

কৃষ্ণসাগর এলাকায় সেনাও মোতায়েন করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরুর আগেই কৃষ্ণসাগর ও ইউক্রেন সীমান্তজুড়ে দেড় লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয় বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট শুরু মূলত ন্যাটোকে ঘিরে। ন্যাটোতে যোগ দিতে দীর্ঘ সময় ধরে তৎপর ইউক্রেন। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল মস্কো। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে তা তার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply