কতটা পারমাণবিক অস্ত্র আছে রাশিয়ার কাছে?

|

ছবি: সংগৃহীত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক শক্তির ওপর ‘বিশেষ’ সতর্কতা জারি করেছেন, যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা অন্যান্য দেশগুলোকে ইউক্রেন ইস্যুতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যাপারে সাবধান থাকতে বলেছে যাতে, পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত না হন। এই সতর্কতার কারণ হিসেবে রয়েছে রাশিয়ার বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার। তবে কতগুলো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ান হাতে? বিবিসির খবর অনুসারে, রাশিয়ার হাতে আছে এখন পারমাণবিক অস্ত্রের সর্ববৃহৎ ভাণ্ডার।

পারমাণবিক অস্ত্রের সমস্ত পরিসংখ্যানই আনুমানিক। তবে ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্ট অনুসারে, রাশিয়ার কাছে এখন ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। যদিও এর মধ্যে প্রায় ১৫০০টি ওয়ারহেড মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হবে বলে জানা গেছে। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৫০০ টি ওয়ারহেডের বেশিরভাগকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই অস্ত্রগুলো দীর্ঘ দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে এবং এর ধ্বংস সাধনের ক্ষমতা অনেক বেশি।

ছবি: বিবিসি

অন্যান্য পারমাণবিক অস্ত্র আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট এবং সেগুলোর ধ্বংস সাধনের ক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কম। এসব অস্ত্র যুদ্ধের ময়দানে এবং সাগরে ব্যবহার করার উপযোগী। তবে রাশিয়ার হাতে ব্যবহার উপযোগী হাজারের বেশি দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র নেই বলেও জানিয়েছে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ১৫৮৮টি রাশিয়ান ওয়ারহেড বর্তমানে রাখা হয়েছে মোতায়েন অবস্থায়। এগুলো ক্ষেপণাস্ত্রে এবং বোমারু ঘাঁটি বা সমুদ্রের সাবমেরিনে স্থাপন করা আছে।

চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র- এই ৯টি দেশের কাছে বর্তমানে আছে পারমাণবিক অস্ত্র।

এখন দেখা যাক, পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশগুলোর কাছে থাকা অস্ত্রের পরিমাণের তুলনামূলক চিত্র।

সূত্র: ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট। ছবি: বিবিসি

দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মিলিত পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার তথা ন্যাটোর হাতে যতগুলো পারমাণবিক অস্ত্র আছে, কেবল রাশিয়ার ভাণ্ডারেই আছে তার চেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে গুঁড়িয়ে গেল ইউক্রেনের প্রশাসনিক ভবন (ভিডিও)

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply