শুরুতে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললেও রাশিয়ার বিশাল বহরের সামনে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক দুর্বলতা। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রুশ বাহিনীর কাছে। শুরুর ধাক্কা সামলাতে নতুন কৌশলে অগ্রসর হচ্ছে তারা। লোকালয়ে হামলায় বাড়ছে ইউক্রেন শিবিরের প্রাণহানি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আর কতদিন প্রতিরোধ গড়তে পারবে জেলেনস্কির সেনারা।
দিন যতো গড়াচ্ছে, ইউক্রেন অভিযানে ততোই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে রুশ বাহিনী। স্পষ্ট হচ্ছে মস্কোর সামরিক শক্তিমত্তা। কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এখন রাজধানী কিয়েভের কাছে পৌঁছে গেছে রাশিয়ার বিশাল বহর।
তিন দিক থেকে একযোগে হামলা হলেও এখন পর্যন্ত বেশ জোরালো প্রতিরোধ গড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। অবশ্য পরাশক্তি রাশিয়ার সামনে কতোটা লড়াই করতে পারবে তারা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল শুরু থেকেই। তবে, রুশ সেনারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ার পর দৃশ্যমান হচ্ছে তাদের শক্তিমত্তা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে একের পর এক শহর।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মানবতার বিরোধী। তারা আমাদের জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। বড়বড় সব স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। তারা এই দেশকে এবং দেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চায়।
খাতা-কলমে সামরিক শক্তিতে রাশিয়ার সাথে যোজন-যোজন পার্থক্য ইউক্রেনের। শুধু সেনার সংখ্যাই নয়, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, সাঁজোয়া যান, সবকিছুতেই অনেক এগিয়ে রুশরা।
পুতিন প্রশাসনের কাছে দেড় হাজারের বেশি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান থাকলেও কিয়েভের আছে মাত্র ৯৮টি। নৌশক্তিতেও মস্কোর ধারেকাছে নেই কিয়েভ। আর, পরমাণু অস্ত্রে তো সারা বিশ্বকেই টেক্কা দিচ্ছে রাশিয়া। শুরুর ধাক্কা সামলে তাই সাফল্যের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ক্রেমলিন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, আমাদের সেনারা খারসন দখলে নিয়েছে। সেখানে কোনো ধরনের রক্তপাত হয়নি। বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। বিপুল প্রাণ হারানো ছাড়াই আমাদের লক্ষ্যপূরণ করতে চাই। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাচ্ছে রুশ বাহিনী। হয়তো দ্রুতই বাকি শহরও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে গোলাবারুদ সরবরাহ করলেও রাশিয়াকে ঠেকাতে তা যথেষ্ট নয়। এতে সর্বোচ্চ রুশদের অগ্রযাত্রার গতি কিছুটা ধীর হবে।
/এমএন
Leave a reply