আখাউড়ায় ইজিবাইক চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

|

আটককৃত দুই ঘাতক

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের বাইপাস সড়কে ইজিবাইক চালক নাজিরুল ইসলাম খুন হওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ভিকটিমের লুন্ঠিত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে আখাউড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে যমুনা নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান। নাজির হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে ঘাতক হানিফ ও শাহিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামি জুলহাস ওরফে শাহীন (৩৮) হবিগঞ্জ জেলা সদরের আনোয়ারপুর মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। সে আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর লাল বাজার এলাকার (ভাসমান) বাসিন্দা। অপর ঘাতক হানিফ (৫৫)। সে আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিরা জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তারা আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার থেকে ইজিবাইক চালক নাজিরুল ইসলামকে খড়মপুর কেল্লা বাবার মাজারে যাওয়ার উদ্দেশে তিনশত টাকায় ভাড়া করে আখাউড়া বাইপাস সড়কের পল্লীবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার এক নির্জন স্থানে পৌঁছায়।

এসময় যাত্রীবেশী ঘাতকরা ইজিবাইকে রক্ষিত টুলবক্স হতে টাকাসহ চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরে ইজিবাইক চালকের দেহ তল্লাশী করতে গেলে ইজিবাইক চালক ভিকটিম নাজিরুল ইসলাম তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে একপর্যায়ে ভিকটিমকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সড়কে ফেলে রেখে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই ভিকটিম ইজিবাইক চালক জহিরুলের মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান রকি (আমলি আদালত-৩) এর নিকট উক্ত আসামিরা নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান যমুনা টেলিভিশনকে জানান, ইজিবাইক চালক ভিকটিম জহিরুল ইসলামের ব্যবহৃত ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনসহ ঘাতক হানিফকে পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকা থেকে আখাউড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। হানিফের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী জুলহাস ওরফে শাহীনকে আখাউড়া লাল বাজার ভূমি অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের অপর এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। থানার রেকর্ড পর্যালোচনা করে আসামি হানিফের বিরুদ্ধে ১টি অপহরণ মামলা ও ৩টি মাদক মামলা পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে আখাউড়া পৌর শহরের বাইপাস সড়কের পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা থেকে আখাউড়া থানার টহল পুলিশ তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply