লকডাউনে ছেলেকে আনতে ১৪০০ কি.মি স্কুটি চালান মা! সেই ছেলে এখন আটকে ইউক্রেনে

|

ছবি: সংগৃহীত

বাড়ি থেকে ৭০০ কিমি দূরে আটকে পড়া ছেলেকে আনতে একাই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাজিয়া বেগম। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়েও এসেছিলেন তিনি। সেই ছেলে এখন আটকে পড়েছেন কৃষ্ণসাগরের তীরের দেশ ইউক্রেনে। রাজিয়া বেগম ভারতের তেলঙ্গানার নিজামাবাদের বাসিন্দা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, এই কাজের জন্য রাজিয়া বেগম সংবাদের শিরোনামেও এসেছিলেন। তার সাহসিকতা এবং জেদের জন্য কুড়িয়েছিলেন অনেক প্রশংসা। সেই ঘটনার প্রায় দু’বছর পর আবার আটকে পড়েছে ছেলে। কিন্তু এবার আর ভারতের অন্য কোনো প্রান্তে নয়, সুদূর ইউক্রেনে। যে দুঃসাহসিকতা নিয়ে তিনি ১৪০০ কি.মি পাড়ি দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে আর দু’চাকার বাহন নয়, ভরসা করতে হচ্ছে ভারত সরকারের ওপর।

নিজামাবাদের বাসিন্দা রাজিয়া তিন সন্তানের জননী। তিনি পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। ২০২০ সালে করোনার জেরে যখন ভারতে লকডাউন ঘোষণা হয় সেসময় তার ছেলে মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন বন্ধুকে ছাড়তে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে লকডাউনের কারণে আর আসতে পারছিল না। যানবাহন, ট্রেন সব কিছুই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে রাজিয়া বেগম ছেলেকে স্কুটিতে করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন।

দু’বছর পর যেন আবারও সেই দুঃস্বপ্ন ফিরে এলো রাজিয়ার জীবনে। আবারও সেই মার্চ। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। ছেলে নিজামউদ্দিন ডাক্তারি পড়ার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন ইউক্রেনে। সেখানে রাশিয়ার সীমান্তলাগোয়া শহর সুমি স্টেট মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র নিজামউদ্দিন।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হতেই চরম দুর্ভাবনায় দিন কাটছে রাজিয়ার। কিভ, খারকিভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে ভারতীয়রা প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং হাঙ্গেরিতে রওনা দিয়েছে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে ভারত সরকার। কিন্তু ছেলে নিজামউদ্দিন কীভাবে ফিরবেন, সেখানে কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন রাজিয়া।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply