বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বাঙালি নদী থেকে এক মাদরাসাশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর এলাকায় নদী থেকে রিফাত ফকির নামে ৯ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রিফাত পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে তার স্বজনদের অভিযোগ, হত্যার পর রিফাতের লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, রিফাত শেরপুরে তার নানার বাড়ি সংলগ্ন বিনোদপুর কাসিমুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিফাতসহ মাদরাসার অন্য ছাত্ররা বাঙালি নদীতে গোসল করে মাদরাসায় ফিরে আসে। রিফাত নদীর পাড়ে তার জুতো-কাপড় ফেলে আসায় সেগুলো নিতে খানিক বাদে আবার সেদিকে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। শুক্রবার দুপুরে ডুবুরিরা ওই এলাকায় মাঝনদী থেকে শিশু রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে।
রিফাতের স্বজনরা জানায়, উদ্ধারের পর রিফাতের মাথা-চোখ ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। নিখোঁজের পর মাদরাসার শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, রিফাতের পরনে পায়জামা ছিলো। কিন্তু উদ্ধারের পর দেখা যায় লুঙ্গি পরিহিত ছিল সে।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলছেন, ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হতে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
/এডব্লিউ
Leave a reply