প্রতিবেশী পরাশক্তি রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কিকে নিজেদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করেছে চেক প্রজাতন্ত্র। এছাড়াও, অত্যন্ত সম্মানজনক রোনাল্ড রিগ্যান ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডও পেতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। খবর ফক্স নিউজের।
সোমবার (৭ মার্চ) চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া রোনাল্ড রিগ্যান ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডের বিষয়টি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দ্য রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ডেশন।
২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রাশিয়াঘেঁষা হিসেবে পরিচিত চেক প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান। ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও বেশ বেশ ভালো সম্পর্ক তার। ইউক্রেনে যখন রাশিয়ার আগ্রাসন চলছে তখনই জেলেনস্কিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক দেয়ার ঘোষণা দিল পুতিনের বন্ধু ও মিত্র দেশটি। যদিও, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকেই পুতিনের সমালোচনায় মুখর প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান। এমনকি গণমাধ্যমে পুতিনকে পাগল বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি।
জানা গেছে, সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানী প্রাগে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট মিলোস।সেই অনুষ্ঠানে মিলোস বলেন, আমাদের একজন সাংসদ জেলেনস্কিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক দিয়ে সম্মানিত করার প্রস্তাব দেন, তার এমন প্রস্তাবে আমি অবশ্যই সম্মতি দেব।
জেলেনস্কির প্রশংসা করে চেক প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর জেলেনস্কি বীরত্ব ও সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি কিয়েভেই রয়ে গেছেন। দেশ ছাড়েননি, বরং দেশ থেকে তিনি রুশ বাহিনীকে মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন বীরত্বের সাথে।
এদিকে, দ্য রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ফ্রেড রায়ান এক বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তিনি যে অদম্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা অসাধারণ।
প্রসঙ্গত, রোনাল্ড রিগ্যান ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড আওন্তর্জাতিক মহলে অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। বেশ কয়েকজন বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সাবেক সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী মিখাইল গর্বাচেভ, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার প্রমুখ অন্যতম।
/এসএইচ
Leave a reply