রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বিবিসির।
ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান দুই দলের আইনপ্রণেতারাই একমত হয়েছেন এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে। এতে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যেতে পারে বলেও স্বীকার করেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার পরপরই আরেক দফা বেড়ে যায় তেলের দাম। ব্যারেল প্রতি দাঁড়ায় ১২৯ দশমিক ৯১ ডলারে।
এদিকে রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন এমন ঘোষণা দিতে পারেন- এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তেলের দাম ইতোমধ্যেই বাড়ানো শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এছাড়া জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতেও উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য।
এদিকে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউর দেশগুলোও। রাশিয়ার কাছ থেকে চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করে থাকে ইইউর দেশগুলো। ইউরোপিয়ান কমিশন বলেছে, রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ গ্যাস আমদানি করা হয়, তা দুই-তৃতীয়াংশ কমানো হবে। ইইউ ও যুক্তরাজ্য যদি জ্বালানি আমদানি বন্ধ করে, তবে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, রুশ অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এই জ্বালানি রফতানি।
আরও পড়ুন: যেসব দেশ বন্ধু নয়, তাদের তালিকা প্রকাশ করলো রাশিয়া
ইউএইচ/
Leave a reply