৫০ টাকা কেজি দরে ১০টি লাক্সারি বাস বিক্রি করতে বিজ্ঞাপন!

|

ছবি: সংগৃহীত

দেশি বিদেশি পর্যটকদের লাক্সারি বাসে চড়িয়ে নানা জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে যেতেন। তবে বছর দু’য়েক হলো সে ব্যস্ততা আর নেই। করোনার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারতের পর্যটন ব্যবসা। কেরালার বহু ব্যবসায়ীর মতো লোকসানের মুখে পড়েছেন রয়সন জোসেফও। তিনি এখন তার হাতে থাকা ১০টি লাক্সারি বাস বিক্রি করতে চান ৫০ টাকা কেজি দরে! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালার কোচির বাসিন্দা জোসেফের কাছে এক সময় ২০টি লাক্সারি বাস ছিল। একটি পর্যটন সংস্থাও খুলেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ‘রয়সন’স রয়্যাল ট্র্যাভেলস’। তবে করোনাতে থমকে গিয়েছে জোসেফের বাসের চাকা! সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে কেরালায়। বছরের ওই সময়ই নাকি কেরালায় ঘোরাফেরা করার আদর্শ সময়। স্লিপার্স বা সেমি-স্লিপার্স লাক্সারি বাসমালিকদেরও তাই ওই সময় বেশ রমরমা। পর্যটকদের বাসে চাপিয়ে চষে বেড়াতে হয় রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তবে সে সুদিন আর নেই। করোনার জেরে ছোটখাটো বহু ব্যবসাই মার খেয়েছে। কেরালাসহ গোটা ভারতের পর্যটনশিল্পও ব্যতিক্রম নয়। ফলে লোকসানে চলছে জোসেফের ব্যবসা।

ব্যবসায় মার খেয়ে একের পর এক ১০টি লাক্সারি বাস বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন জোসেফ। তবে তাতেও সুরাহা হয়নি। এবার আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ‘কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন কেরালা’ (সিসিওএ)-নামে একটি সংগঠন জোসেফের হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তাতে ফুটে উঠেছে জোসেফের দুর্দশার কাহিনি। ফেসবুকে তারা জোসেফের হয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন, ‘ট্যুরিস্ট বাস বিক্রি রয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা।’

বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়েছে। তবে জোসেফ নির্বিকার। তিনি জানিয়েছেন, অতিমারির ধাক্কায় ব্যবসায় যথেষ্ট মার খেয়েছেন। তার চোট আর সামলাতে পারছেন না। সংবাদমাধ্যমেও জোসেফ বলেছেন, আমি আর এই ব্যবসা চালাতে পারছি না!ব্যবসা বাঁচাতে আগেই ২০টার মধ্যে ১০টা লাক্সারি বাস বিক্রি করে দিয়েছিলাম। এবার বাকিগুলোও পানির দরে বিক্রি করতে চাই।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply