বাংলাদেশে পড়তে আসা ৫৮ বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চতায়। ক্লাস শুরুর পর ইকুইভ্যাল্যান্ট সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের নিজ দেশে ফিরতে বলেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। তবে ভারত সরকারের অনুরোধে ভর্তি বাতিল না করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কবে নাগাদ ভারত ও নেপালের শিক্ষার্থীদের এই অনিশ্চয়তা কাটবে, তা বলতে পারেননি স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব।
ভারতসহ আশপাশের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল পড়তে আসেন বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে নিজ দেশে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় তাদের। করোনার মধ্যে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভারতের ৫২ ও নেপালের ৬ শিক্ষার্থী অন্যান্যদের মতো ভর্তি হন দেশের ১১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। বেশ কিছুদিন ধরে ক্লাসও করছেন তারা। তবে করোনার কারণে সময়মত ইকুইভ্যালেন্ট সনদ জমা দিতে পারেননি। এজন্য তাদের শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করে দেশে ফিরতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশে গিয়েও চলতি সেশনে পড়াশোনার সুযোগ নেই তাদের।
সংকট সমাধানে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি লেখেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব একাধিক চিঠি লেখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিবকে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানালেন, প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির গ্রহণযোগ্য সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
পাল্টা চিঠিতে ইকুইভ্যালেন্ট সার্টিফিকেট ছাড়া ভিসা ইস্যুর বিষয়টি তদন্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। একই সাথে বেসরকারি ১১ মেডিকেল কলেজের কাছেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায় তারা। চিঠি পাল্টা চিঠির পাশাপাশি দেশের মেডিকেল শিক্ষায় বিদেশিদের আগ্রহ যাতে নষ্ট না হয়, সে সব বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল।
মেডিকেল কলেজগুলোতে নিয়মিত ক্লাসসহ অন্যান্য কার্যক্রম অংশ নিচ্ছেন ভারতীয় ও নেপালি ওই শিক্ষার্থীরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply