প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক স্কুল। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭১। এতটুকু খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু, শিক্ষার্থীদের সবাই নাকি দু’হাতেই লিখতে পারে! শুধু তাই নয়, পাঁচটি ভাষাতে অনর্গল কথাও বলতে পারে তারা। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন একটি স্কুলই সত্যিই আছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলি জেলার বুধেলা গ্রামের বীণা বন্দিনী স্কুল।
১৯৯৯ সালে প্রাক্তন সেনাকর্মী বিপি শর্মা এই স্কুলটি চালু করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
বিপি শর্মা জানান, সেনাবাহিনীতে কাজ করার সময়, তিনি প্রথম দু’হাতে লেখা সম্পর্কে একটি পত্রিকা থেকে জানতে পারেন। তার পরেই এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তারমতে, মাত্র এক শতাংশ লোকের দু’হাতে লেখার ক্ষমতা থাকে। কিন্তু চেষ্টা করলে অনেকেই এভাবে লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।
মধ্যপ্রদেশের এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগ দলিত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের। শুধু তাই নয়, স্কুলটিতে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের পরিবারের মধ্যে তারাই প্রথম স্কুলে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও বিভিন্ন প্রতিনিধি দল আসছে স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে।
প্রত্যেক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ থাকে দু’হাতে লেখা শেখার জন্য। শেখানো হয় হিন্দি, উর্দু, ইংলিশ, সংস্কৃত ও স্প্যানিশ ভাষা। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এই স্কুলে। এমন স্কুলের কথা শুনে কী আর কৌতূহলী না হয়ে পারা যায়?
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply