চাঁদপুরে ক্রমশ কমছে আবাদি জমি, কমছে ফসল উৎপাদনও

|

চাষের জমিতেই গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি।

চাঁদপুরে দিন দিন কমছে কৃষি জমি। গত ১০ বছরে কমেছে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি। ফলে কমে গেছে ফসল উৎপাদনও। অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মৎস্য খামার, ফলের বাগান গড়ে তোলা এর অন্যতম কারণ। কৃষি বিভাগ বলছে, তিন ফসলি জমি রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

চাঁদপুরে ২০১২ সালে আবাদি জমি ছিল ৯৪ হাজার ৫৮৫ হেক্টর। এখন সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৬৬৪ হেক্টরে। ১০ বছরের কম সময়ে এই জেলায় কৃষি জমি কমেছে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি।

ক্ষেতের ভেতরে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি ও শৌখিন খামার। বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে জমি। কোথাও পরিবর্তন এসেছে আবাদের ধরনে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রয়োজনের তাগিদেই ফসলের জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের খামার ও ফলের বাগান।

অপরিকল্পিত অবকাঠামোর ফলে সেচ ও পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানান সেচ কর্মকর্তা। চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আবাদি জমিতে ঘরবাড়ি তৈরি হওয়ার ফলে সেখানে সেচ প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়ে বর্ষার মৌসুমে অন্য আবাদি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে সেখানে চাষিরা আর চাষাবাদ করে করতে পারে না।

এই অবস্থায় কৃষি বিভাগ বলছে, দুই ও তিন ফসলি জমি রক্ষায় নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, দুই ও তিন ফসলি জমি রক্ষায় আমরা সর্বদাই সচেষ্ট। তবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

উল্লেখ্য, চাঁদপুরে এক ফসলি জমি রয়েছে ২৩ হাজার ২২১ হেক্টর, দুই ফসলি জমি ৪৮ হাজার ২৪৮ হেক্টর এবং তিন ফসলি জমি রয়েছে ১২ হাজার ১৯৫ হেক্টর।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply