সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সবার পরামর্শ চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এজন্য রোববার (১৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপের প্রথম দিনে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তাতে উপস্থিত হয়েছেন ১৩ জন। বাকি ১৭ শিক্ষাবিদ সংলাপে যোগ দেননি।
এদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ শুরু হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংলাপে উপস্থিত হওয়া ১৩ শিক্ষাবিদ হলেন— অধ্যাপক জাফর ইকবাল, ড. এম আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রফেসর এম আবুল কাশেম মজুমদার, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমিন, প্রফেসর ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান ও ড. বোরহান উদ্দিন খান।
আর রোববারের এ সংলাপে আমন্ত্রণ পেলেও উপস্থিত হননি, এমন শিক্ষাবিদরা হলেন— প্রফেসর ইমেরিটাস ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি, অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. তানভীর হাসান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. তাসলিম আরিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম।
নির্বাচন কমিশন আমন্ত্রণ জানানোর পরই কয়েকজন শিক্ষাবিদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সংলাপে অংশ না নেয়ার কথা। নতুন কমিশন পেশাজীবীদের মতামত নিতে বেশি সংখ্যক পেশাজীবীদের সঙ্গে সংলাপ করতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশন আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
/এমএন
Leave a reply