চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনা টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
এদিকে রনি তার ফেসবুক একাউন্টে একটি অব্যাহতিপত্র পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজেই অব্যাহতি চেয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এটি লিখেছেন। তাতে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়েছেন।
এর আগে আজ সামাজিক মাধ্যমে রনির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালককে তার কক্ষে ঢুকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন রনি। ভুক্তভোগী রাশেদ মিয়ার অভিযোগ, অফিসের দখল ছেড়ে দিতে বলায় এবং দাবি করা ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তাকে মারধর করেন রনি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নগরীর জিইসি মোড়ে ইউনিএইড নামে কোচিং সেন্টারে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রাশেদ মিয়াকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
পরিচালকের অভিযোগ, তার অফিস জোরপূর্বক ব্যবহার করতেন রনি। এক পর্যায়ে অফিস ছেড়ে দিতে বলায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার উপর চড়াও হন এই ছাত্রলীগ নেতা।
রাশেদ মিয়ার অভিযোগ, সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল তার উপর দ্বিতীয় দফা চড়াও হয় রনি ও তার এক সহযোগী। মুরাদপুরে তাদের অফিসে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় ছাত্রলীগ নেতারা। ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় তার কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট কেড়ে নেয় তারা। এরপর থেকে ক্রমাগত হত্যার হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি রাশেদ মিয়ার।
তবে রনির দাবি, তিনিও কোচিং সেন্টারটির অংশীদার। ব্যবসায়িক বিরোধের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়া হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।
এ ঘটনায় রনি ও তার সহযোগী নোমান চৌধুরী রাকিবের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন মারধরের শিকার রাশেদ মিয়া। তবে এ বিষয়ে পুলিশ কথা বলতে রাজি হয়নি।
এর আগে চাঁদার দাবিতে গত ৩১ মার্চ দলবল নিয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষ জাহেদ খানকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের এই নেতা। এ দৃশ্য প্রচার হলে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনায়ও চকবাজার থানায় মামলা হয়েছে।
Leave a reply