ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও বাইসাইকেলে করে বিশ্ব ভ্রমণে বের হওয়া ইংলিশ নাগরিক লুক গ্রেনফেল শ এখন বাংলাদেশে। বিভিন্ন প্রচারণার কাজে তিনি এদেশে থাকবেন সাতদিন। পাশাপাশি এদেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজও করবেন তিনি। চিকিৎসা নিয়ে ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে থেকে আংশিক সুস্থ লুকের লক্ষ্য হলো, ব্রিস্টল থেকে বেইজিং সফরে বিশ্বের ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য কিছু করে যাওয়া।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে যখন মেতে থাকার কথা, তখনই জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন ব্রিটিশ যুবক লুক গ্রেনফেল শ। তবে স্টেজ ফোরে থাকা এই ক্যান্সার খুব একটা কাবু করতে পারেনি তাকে। বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্তদের সহায়তায় লুক ঘুরে বেড়াচ্ছেন পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। গত শুক্রবার (১১ মার্চ) বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছান লুক। সেখান থেকে তার ঢাকায় পৌঁছাতে লেগেছে ৩ দিন। আরও দিন সাতেক ঢাকায় থেকে সিলেট হয়ে বেইজিং এর উদ্দেশে রওনা হবেন লুক।
চলার পথে বাংলার সবুজ প্রকৃতি দাগ কেটেছে এই সাইক্লিস্টের মনে। তাই সংগৃহীত অর্থের একটি অংশ তিনি খরচ করে যেতে চান বাংলাদেশের ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য। ক্যান্সার আক্রান্ত এই সাইক্লিস্ট বলেন, এদেশটা অনেক সুন্দর, সতেজ, সজীব। বেনাপোল থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে আমি ঢাকায় এসেছে। এখানকার জার্নিটা মনে রাখার মতো। এদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সত্যি অনেক ভালো লাগবে।
এ পর্যন্ত ২৮টি দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য তহবিল তৈরির পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করেছেন লুক গ্রেনফেল শ। ব্রিস্টল থেকে বেইজিং সফরে ক্যান্সার যোদ্ধা লুকের সঙ্গী ট্যানডেম বাইসাইকেল। চ্যারিটির জন্য ৩ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করতে চান তিনিক। সেখানে এ পর্যন্ত ১ লাখ পাউন্ড জমা হয়েছে। লুক গ্রেনফেল শ বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর যখন চিকিৎসা নিয়ে আমি আশার আলো দেখতে সক্ষম হই, তখনই ঠিক করেছিলাম মানুষের পাশে দাঁড়াবো। শুধু এক দেশে না, বিশ্বের সকল দেশের ক্যান্সার আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য, তাদের মনোবল বাড়াতে আমি ঠিক করি যে, সাইকেলে করেই পৌঁছাবো প্রতিটি দেশে।
২০২০ সালে যাত্রা শুরুর পর যখন জার্মানি পৌছান লুক, তখনই করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। তখন দেশে ফিরে গেলেও হাল ছাড়েননি তিনি। পরিস্থিতি পাল্টালে আবারও শুরু করেন যাত্রা। এ নিয়ে লুক বলেন, প্রতি ৪ চার মাস পর পর শারীরিক পরীক্ষা করতে হয়। তাই একটু সতর্কতার সাথে চলি। আমার পরিবার প্রথমে একটু দুশ্চিন্তা করতো, কিন্তু এখন তারা জানে আমি আমার এই কাজের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবো।
এম ই/
Leave a reply