‘মিস বিকিনি ইউনিভার্সের’ ফলোয়ার সাড়ে ৭ লাখ, নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোট পেলেন ১৫১৯!

|

ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করলে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ দেখেন, লাইকও করেন। ইনস্টাগ্রামে তার ভক্ত প্রায় আট লক্ষ ছুঁই ছুঁই। জনপ্রিয়তার এই বহর দেখেই হয়তো ২০২২ সালের ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল এই অর্চনাকে। বদলে অর্চনা কংগ্রেসকে এনে দিয়েছেন ১ হাজার ৫১৯টি ভোট! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর বিধানসভা থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অর্চনা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার ওই একই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন এক লক্ষ ২৭৫টি ভোট। তিনি অবশ্য জেতেননি। হস্তিনাপুরে বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন এক লক্ষ ৭ হাজার ৫৮৭ ভোট।

অর্চনা এই প্রশ্নের একটি সম্ভাব্য উত্তর নিজেই দিয়েছেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর টুইটারে লিখেছেন, হস্তিনাপুরের মানুষ আমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেননি।

অর্চনাকে হস্তিনাপুর অবশ্য চেনে ‘বিকিনি গার্ল’ বলে। সমুদ্রতটে পরার মেয়েদের স্বল্পবাসের সঙ্গে কংগ্রেসের বিধায়ক প্রার্থীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৮ সালে তিনি ‘মিস বিকিনি ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় সেরার খেতাব পেয়েছিলেন। সেই সুবাদে বলিউডের বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও পান। এমনকি এখনও অভিনয় করেন আঞ্চলিক ছবিতে। সেই অর্চনাকে যখন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি তার দলের বিধায়ক পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন, তখন সমালোচনা কম হয়নি। ‘মিস বিকিনি বডি’ অর্চনার স্বল্পবাস ছবির পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল হস্তিনাপুর।

যদিও অর্চনা বলেছিলেন, তিনি তার পেশার জগতকে তার রাজনীতির ক্যারিয়ারের সঙ্গে মেলাতে চান না। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে একজন নারী হিসেবে লড়বেন এবং জিতে দেখাবেন।

১০ মার্চের পর তার ভোট টানার ক্ষমতা বুঝে অবশ্য হাল ছাড়েননি অর্চনা। বরং টুইটারে লিখেছেন, বাচ্চারা যখন কোল থেকে পড়ে যায়, তখনই হাঁটতে শেখে। যারা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, তাদের ধন্যবাদ। খুব শিগগিরিই আমি আপনাদের বিশ্বাস অর্জন করে দেখাবো।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply