স্কুল শেষে বাড়িতে ফিরে মাকে মেঝেতে ঘুমাতে দেখতো ছেলে। তাই বিরক্ত না করেই ১০ বছর বয়সী বালক পাশেই এসে ঘুমিয়ে পড়তো। পরদিন নিজেই গোসল সেরে বাড়িতে থাকা খাবার খেয়ে স্কুলে যেতো। এভাবে কয়েকদিন কাটার পর দুর্গন্ধ বের হলে জানা যায়, ৪ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই নারীর। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদের তিরুপতিতে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা গেছে, নিহত ওই নারীর নাম রাজ্যলক্ষ্মী (৪১)। পেশায় তিনি একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষিকা। তিরুপতিতে ছেলে শ্যাম কিশোরকে (১০) নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন রাজ্যলক্ষ্মী। কর্নাটকে সম্প্রতি পিএইচডি শেষ করেছেন তিনি। তার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্যলক্ষ্মী। চিকিৎসকের কাছেও যাওয়ার কথা ছিল তার।
পুলিশের ধারণা, গত ৯ মার্চ রাতে বিছানা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় রাজ্যলক্ষ্মীর। তবে তার ছোট ছেলে শ্যাম বোঝেনি, মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই এই ৩-৪ দিন ধরে মায়ের মরদেহের পাশেই এসে ঘুমিয়ে পড়তো সে। তবে শেষে মরদেহের শরীরে পচন ধরলে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। একই শহরে থাকা মামার কাছে শ্যাম ফোন করে জানায়, মায়ের শরীর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। ফোনের অপর পাশ থেকে মা কী করছে তা জানতে চাইলে শ্যাম জানায়, মা তো ৩-৪ দিন ধরে মেঝেতেই ঘুমাচ্ছে। এরপরই সন্দেহ হলে রাজ্যলক্ষ্মীর ভাই তৎক্ষণাৎ সেই ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন। এরপরই চমকে ওঠেন তিনি।
পুলিশ জানায়, নিহতের ভাইয়ের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, শিশু শ্যাম কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে এ নিয়ে তদন্ত করে আসল ঘটনা জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।
এসজেড/
Leave a reply