গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার এক আসামির স্বজনের সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুজ্জামানকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তৌহিদুজ্জামান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে আসামি খলিলুর রহমান বাবুর ছেলে তুরাস তাকমির সজলের ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁসের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর জেলা জুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যেই যমুনা টেলিভিশনের হাতেও এসেছে একটি অডিও রেকর্ড। অডিও রেকর্ডে শোনা যায় টাকা লেনদেনের কথোপকথন। যদিও দু’জনই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে অডিও রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আসামি খলিলুর রহমানের ছেলে সজল কথোপকথনের ওই অডিও রেকর্ড মিথ্যা দাবি করেন। তার দাবি, মামলার বিষয়ে ওসির সঙ্গে তার কখনোই মোবাইলে কিংবা সাক্ষাতে কথা হয়নি। উল্টো মামলা থেকে তার বাবাসহ শ্বশুরকে অব্যাহতি দিতে বাবার পূর্বপরিচিত দুই ব্যক্তিকে গত চার মাস আগে দুই লাখ টাকা দেয়ার দাবি করেন তিনি। ওই টাকা শহরের দাশ বেকারি মোড়ে তার চাচার ‘এ্যাপোলো ফার্মেসী’ নামে একটি ওষুধের দোকান থেকে নিয়ে যান বলে জানান তিনি। টাকা দেয়ার সত্যতাও স্বীকার করেছেন ওষুধ ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া।
আসামির স্বজনের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অডিওর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে হত্যা মামলার চার্জশিট থেকে আসামির নাম বাদের তদবির না শোনায় পরিকল্পিতভাবে কেউ এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
গত বছরের ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানার বাড়ি থেকে। এ ঘটনায় মাসুদকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি ৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান।
এদিকে, গণমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়টি জানা আছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডসহ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
ইউএইচ/
Leave a reply