সেই ওসির ঘুষের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

|

ছবি: প্রতীকী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার (ওসি) তৌহিদুজ্জামানের ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আবু লাইচ মো. ইলিয়াচ জিকু তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করতে এক সদস্যের কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালকে। তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানকে সুন্দরগঞ্জ থানার (ওসি) দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। তৌহিদুজ্জামান গত ১৮ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় যোগদান করেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ছিলেন।

জানা গেছে, ডিবির ওসির দায়িত্ব থাকা সময়ে তৌহিদুজ্জামান গাইবান্ধার চাঞ্চল্যকর জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। সম্প্রতি এই হত্যা মামলার আসামি খলিলুর রহমান বাবুর ছেলে তুরাস তাকমির সজলের সঙ্গে তৌহিদুজ্জামানের ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁস হয়। মামলার অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দিতে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা লেনদেনের বিষয়ে কয়েক দফায় এই ফোনালাপ হয়। গত ১৬ জানুয়ারি তিন আসামিকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুজ্জামান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত : গত বছরের ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানার চকমামরোজপুর এলাকার বাড়িতে। তাকে অপহরণের পর প্রায় এক মাস নিজ বাড়িতে আটক রাখেন মাসুদ রানা। এ ঘটনায় মাসুদকে প্রধান এবং ব্যবসায়ী রুমেন হক ও খলিলুর রহমান বাবুকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। আসামি মাসুদ রানা কারাগারে থাকলেও রুমেল হক পলাতক ও খলিলুর রহমান জামিনে আছেন।

আরও পড়ুন: ভ্যানচালককে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এসআই প্রত্যাহার

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply