গণতন্ত্র নয়, সমাজের সকল ক্ষেত্রে ভর করেছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। যার প্রতিফলন স্বাধীনতা পদক প্রদানের ক্ষেত্রেও পড়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বলেন, এই পুরস্কার বিতর্কিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় সম্মান কমিয়ে আনা হচ্ছে। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে সব রাজনৈতিক দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। গত ১০ বছরে যার প্রভাব দেশের জনগণের ওপর পড়েছে। এমন প্রেক্ষিতে ‘বিরোধী রাজনীতির দেশপ্রেমের অভাবেই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে’ শীর্ষক ছায়া বিতর্কের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের জায়গায় এখন ঢুকে পড়েছে আমলাতন্ত্র। সবাই এখন ব্যস্ত মুনাফা লুটতে। এসময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল রাজাকারদের প্রকৃত তালিকা করা। রাজাকার ছাড়া বাকি সবাই কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা ছিল জনযুদ্ধ। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে সত্য কিন্তু সমসুযোগ ও সুশাসন বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা এখনো পাইনি বলেও মন্তব্য সকরেন তিনি।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে সরকারকে রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে সংলাপের আয়োজন করার আহ্বান জানান অনুষ্ঠানের আয়োজক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান। এসময় তিনি আরও বলেন, আমি জানি না এবারের স্বাধীনতা পদক প্রদান কমিটিতে কারা জুরি ছিলেন। এবারের স্বাধীনতা পদকের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদার একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা একজন অচেনা ও অখ্যাত সাহিত্যিক কীভাবে পেলেন তা এখন সবার কাছে প্রশ্ন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা সিটি কলেজকে হারিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply