নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৩ (২) ধারা মোতাবেক ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ধর্ষণে জন্ম নেয়া কুড়িগ্রামের এক শিশুর ব্যয়ভার বহনের জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। আইন সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ২০১০ সালে কুড়িগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণ করেন খয়ের আলী নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানা মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২১ সালে মামলার রায় হয়। মামলা চলাকালে ধর্ষণের ফলে ওই নারী এক কন্যাশিশু জন্ম দেন। আদালত আসামি খয়ের আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
ধর্ষণে জন্ম নেয়া ওই শিশুর যাবতীয় ভরণ-পোষণ ব্যয়ভার বহন করার নির্দেশ দেয়া হয় সরকারকে। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন হওয়ার ২২ বছর পরও কোনো বিধিমালা না থাকার কারণে শিশুটির কোনো ব্যয়ভার সরকার বহন করেনি। উপরন্তু, কুড়িগ্রামের ডিসি শিশুটিকে এতিমখানায় দেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ওই শিশুর মা।
ইউএইচ/
Leave a reply