শি-বাইডেন বৈঠক: মস্কোয় বেইজিংয়ের সহায়তা ঠেকানোয় যুক্তরাষ্ট্রের জোর

|

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধ-সংঘাত কোনো পক্ষেরই স্বার্থ হাসিল করে না। শান্তি ও নিরাপত্তাকেই দিতে হবে সর্বাধিক গুরুত্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ভিডিও কলে এ কথা বলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অবশ্য এদিনও রাশিয়াকে সরাসরি দোষারোপ করেননি শি। অন্যদিকে, মস্কোয় বেইজিংয়ের সামরিক বা অর্থনৈতিক সহায়তা ঠেকানোর দিকেই জোর দেন জো বাইডেন। তবে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপের কথা হয়েছে কিনা কোনো পক্ষই জানায়নি তা। খবর বিবিসির।

যতো দিন যাচ্ছে, ইউক্রেনে হামলার পরিসর বাড়াচ্ছে রাশিয়া। শহরের পর শহর পরিণত হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে। ইউক্রেনের এই চরম সংকটের মুহূর্তে মুখোমুখি হয়েছিলেন নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার (১৮ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে এই আলোচনা। বৈঠক শেষে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধ দেখতে চান না প্রেসিডেন্ট শি। আর হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই নেতাই। তবে বেইজিংয়ের প্রতি বাইডেনের সতর্কবার্তা বেশি গুরুত্ব পায় যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করেছেন, চীন রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে কী পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। প্রেসিডেন্ট শি’কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি কী করবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শি’র সাথে আলোচনায় মস্কোয় বেইজিংয়ের সহায়তা ঠেকানোই ছিল বাইডেনের মূল লক্ষ্য। এশিয়া সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কেভিন রাড বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন অনেকটাই পুতিনের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে। চীনের অভ্যন্তরীণ বার্তা অনেকটা স্পষ্ট। মস্কোর সমালোচনা না করে দূরত্ব রাখছে তারা।

ব্রুকিংসের সিনিয়র ফেলো ড্যানিয়েল হ্যামিল্টন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন কৌশল প্রয়োগ করছে। তা হলো, বেইজিংকে আগেভাগেই পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা। এতে পরোক্ষভাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে চীনের ওপর।

গত সপ্তাহে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, চীনের কাছে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা চেয়েছে রাশিয়া। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও মস্কোর ওপর অবরোধের সমালোচনা করে আসছে বেইজিং।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো ভিডিওকলে কথা বললেন শি-বাইডেন

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply