‘এস-৪০০’ ইউক্রেনে পাঠাতে তুরস্ককে চাপ যুক্তরাষ্ট্রের

|

ছবি: সংগৃহীত

‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে তুরস্ককে চাপ প্রয়োগ করছে বাইডেন প্রশাসন। একসময় যে এস-৪০০ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের মিত্র তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটিয়েছিল, এখন সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা মোকাবিলায় কাজে লাগাতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, তুরস্কের কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় কিনা, সেই সম্ভাবনা অনানুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে যুক্তরাষ্ট্র।

৩টি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা গত মাস থেকেই তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ভাবনা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি তুরস্কের পক্ষ থেকে। চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের তুরস্ক সফরের সময় এ বিষয়টি সামনে আনা হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে বাইডেন প্রশাসন আক্রান্ত দেশটিকে রক্ষায় রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৩০০’ ও ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মিত্রদের অনুরোধ করে আসছে।

ফেলাডেলফিয়ার পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যারন স্টেইন রয়টার্সকে বলেন, তুরস্ক যেন ধারালো ছুরির ওপর দিয়ে হাঁটছে। যদি এস-৪০০ ইউক্রেনে পাঠানো হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা মস্কোর রোষানলে পড়বে। অ্যারন স্টেইনের মতে, এরদোগানের কাছে রাশিয়ার ‘এস-৪০০’ তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই এটি হস্তান্তর আঙ্কারার জন্য সহজ হবে না।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে আঙ্কারার হাতে যখন ‘এস-৪০০’র প্রথম চালান আসে, তখন থেকে ওয়াশিংটন এই রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে তুরস্ককে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে আসছে। তুরস্ক তা না মানায় দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির যৌথ কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্রাইমিয়া দখলের আট বছর পূর্তিতে রাশিয়ায় উদযাপন
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply