বিয়ের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ‘ব্যবসায়ী’ সজল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার অভিনব প্রতারণা নিয়ে গত ৬ এপ্রিল যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারের পর একজন ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন। সজল চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর আদালতে নিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
সজল চৌধুরীর প্রতারণার ধরণটা একটু আলাদা। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিয়ে করেন। এরপর বৌয়ের পরিবার থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেন তালাক। এরপর নিখোঁজ। কখনো ব্যবসায়ী সেজে, কখনো মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়েছেন তিনি।
যমুনা টিভিকে তিনি পরিচয় দেন ব্যবসায়ী হিসেবে। সজল চৌধুরীর দাবি, দেশে তার কোনো ব্যবসা নেই। সবই আন্তর্জাতিক পরিসরে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস হংকংয়ে। থাকেন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।
দেশব্যাপী তার নাম ছড়ায়, গত ১১ মার্চ রোববারের পর। সেদিন রাতে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সপ্তাহখানেক পর মেলে খোঁজ। এরপরই সজল সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া শুরু করে যমুনা নিউজ। কিন্তু অনেকটা কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসার জোগাড়।
রাজধানীর পল্টনে আইনি পরামর্শের জন্য এক আইনজীবীর অফিসে যাওয়া এক নারী জানান সজল তাকে বিয়ে করে নানা ফন্দি-ফিকিরে আদায় করে নিয়েছে ৮২ লাখ টাকা।
আরেক ভুক্তভোগী যমুনা টিভিকে তখন জানান, তাকেও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। জানা যায়, সজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৭/৮টি প্রতারণার মামলা আছে।
ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ২০টিরও বেশি বিয়ে করেছেন সজল। এদের মধ্যে ৬ জনের খোঁজ পেয়েছে যমুনা নিউজ টিম। তাদের সব অভিযোগেরই আছে তথ্য-প্রমাণ। সবার কাছ থেকেই সজল নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা।
Leave a reply