সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নাটোর:
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুরের যমজ তিন কন্যাশিশুকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উপহার হিসাবে দশ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন। ঐ গ্রামে গত বছরের ২৪ নভেম্বর লিটন-লাভলী দম্পতির ঘর আলো করে একসাথে জন্ম নেয় চারটি কন্যাশিশু। জন্মের পরপরই একটি শিশু মারা গেলেও ফুটফুটে তিন কন্যা আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে দেয় চারিদিক। কিন্তু আগের এক ছেলে ও মেয়েসহ মোট পাঁচটি সন্তান নিয়ে দারিদ্র্যের কষাঘাতে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন এই দম্পতি।
সংবাদটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের নজরে আসে। এরপরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে উপহারস্বরূপ শিশুদের দুধ কেনার জন্য সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি। পরে অসহায় এই পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবেন বলিও আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
স্বাধীনতা দিবসের মহেন্দ্রক্ষণে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া ১০ হাজার টাকা লিটন-লাভলী দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় আবেগে আনন্দে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা। যমজ শিশুদের মা লাভলী বেগম বলেন, বাচ্চাদের ঠিকমতো দুধ কিনে দিতে পারছিলাম না। প্রতিমন্ত্রী পলক মহোদয় দশ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বাচ্চাদের দুধ কেনার জন্য। এটা যে কতো বড় খুশির খবর তা বলে বোঝাতে পারবো না।
যমজ তিন শিশুর বাবা লিটন উদ্দিন জানান, অভাবের সময়ে অনেক বড় উপহার পেলাম। বাচ্চাদের দুধ কিনতে ধার দেনা করেছি। পলক ভাইয়ের কথা অনেক শুনেছি। কখনো সামনাসামনি দেখিনি। তার এই সহযোগিতার কথা আজীবন মনে থাকবে। ছোট শিশুদের জন্য দুধের টাকা পাঠিয়ে দিয়ে তিনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করি। তিনি যেন সুস্থ থাকেন। পলক ভাই আমাদের দুঃখ দূর করার উদ্যোগ নেবেন বলে শুনলাম। আমরা পলক ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ নভেম্বর স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে চার কন্যা শিশুর জন্ম দেন বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগম। এর মধ্যে এক শিশু মারা গেলেও বাকি তিন কন্যা লাবন্য, লাবিবা ও লামিশা সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু দারিদ্রতার নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত হতদরিদ্র এই পরিবারটি। অর্থাভাবে সন্তানদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছেন না তারা। লিটন-লাভলী দম্পতির আগেই লিমন হোসেন নামে ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং লিজা খাতুন নামে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় খুশি স্থানীয়রাও। তারাও চাইছেন প্রতিমন্ত্রী অসহায় এই পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply