নিজের লেখা বই ‘দ্য কিস অফ লাইফ— হাউ এ সুপারহিরো অ্যান্ড মাই সন ডিফিটেড ক্যানসার’এ অক্ষয় কুমারের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। তার চার বছরের ছোট্ট ছেলে আয়ানের কঠিন দিনগুলোতে অক্ষয়ের মানবতা তার বন্ধুত্বের প্রতি এই বইয়ে সম্মান জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য এই বইয়ের মুখপত্র লিখেছেন অক্ষয় নিজেই। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বইয়ে ইমরান লিখেছেন, ছেলের চিকিৎসা চলাকালীন অক্ষয়ের ফোন পান তিনি। অক্ষয় তাকে জিজ্ঞেস করেন সন্তানের অসুস্থতার খবরটি সত্যি কিনা। ইমরান তাকে জানান, অস্ত্রোপচারে তার ছেলের টিউমার এবং একটি কিডনি বাদ দেয়া হয়েছে। অক্ষয় তখনই হাসপাতালে যেতে চান। ইমরান তাকে আশ্বস্ত করলে অভিনেতা তাকে বলেন, তার বেশ কিছু উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এবং ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। কোনো রকম প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে ইমরান যেন একটুও দ্বিধা না করেন।
এখানেই শেষ নয়। বইয়ে ইমরান জানান, অক্ষয় তাকে প্রতিদিন ফোন করে ছেলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতেন। আয়ান বাড়ি ফেরার পরে একদিন নিজে এসে দেখেও যান অভিনেতা। ব্যাটম্যানের পোশাকে তার ছোট্ট ছেলের ছবি দেখে নাকি চোখে জল এসে গিয়েছিল অক্ষয়ের।
ইমরানের বইতে আরও উল্লেখ রয়েছে, ক্যানসারই প্রাণ কেড়েছে অক্ষয়ের বাবার। তার ফলেই তিনি আরও বেশি করে ইমরানের মনের অবস্থা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। অক্ষয় তাই কানাডায় নিজের পরিচিত হাসপাতালে আয়ানের সেরা চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিতে চেয়েছিলেন।
সেসব দিনের স্মৃতিচারণ করে ইমরানের বইয়ের মুখপত্রে অক্ষয় লেখেন, আয়ানের পরিস্থিতির কথা যখন শুনলাম মনে হলো যেন কেউ আমার পেটেই এসে ঘুষি মারলো। তখন গাড়ি চালাচ্ছিলাম, তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামিয়ে ইমরানকে ফোন করি। কারণ, আমি জানি নিজের কাছের মানুষ এই রোগের শিকার হলে ঠিক কেমন লাগে।
অক্ষয়ের সঙ্গেই ইমরানের আগামী ছবি ‘সেলফি’। ইমরানের পাশাপাশি আরও দুই মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন নুসরত ভারুচা এবং ডায়না পেন্তি। ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম ছবি ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ এর হিন্দি রিমেক এই ছবিটি।
এসজেড/
Leave a reply