সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক জুনিয়র নারী আইনজীবী। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এই মামলাটি করেছেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর জুনিয়র হিসেবে কাজ করতো। ২০১৮ সালে তার বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। তবে আইনজীবী মেহেদী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে তার পরামর্শেই গত বছররে ২৮ নভেম্বর স্বামীকে তালাক দেন ওই নারী। কিন্তু এরপরও বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন মেহেদী।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ওই নারী তালাক প্রত্যাহার করে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলেও মেহেদী ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। তবে বার কাউন্সিলে অভিযোগ দেয়ার ভয় দেখালে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করলেও কোনো স্বীকৃতি দেয়নি তাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার ওই নারী মেহেদীর বাসায় গেলে মারধর করে বের করে দেয়া হয়। এরপর সমঝোতার কথা বলে গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষণ এবং হুমকি দেয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, নভেম্বর থেকে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে। আমি যখন মামলা করার ভয় দেখায় তখন তিনি ওনার পরিচিত এক কাজি দিয়ে অন্য একজনের বউ থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করে। তারপর মার্চের ২৪ তারিখে সে আমাকে আবার ডিভোর্সও দেয়। উনি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছিল। উনি অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ উনাকে গ্রেফতার করছে না। উনি আমাকে সব সময় বলে তুমি মামলা করবা করো, আমার কিছু করতে পারবা না। আমি মামলা করেছি আমার কাছে কোনো কিছু না এসে উনার কাছে মামলার কপি চলে গেছে। উনি আবার আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। যদিও ভুক্তভোগী ওই নারী দাবি করেছেন, মেহেদী ২৬ মার্চে ফুল দিতে স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। সোমবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে মেহেদীর আগাম জামিনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply