রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: প্রথমবারের মতো কার্যকর অগ্রগতি দেখলো বিশ্ব

|

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রথমবারের মতো কার্যকর অগ্রগতি দেখলো বিশ্ব। কিয়েভ জানিয়েছে, জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থাকতে তারা রাশিয়ার দাবি মানতে রাজি। অন্যদিকে মস্কো বলছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এরই মধ্যে, কিয়েভ এবং চেরনিহিভের আশেপাশের এলাকাগুলোয় সামরিক তৎপরতা ও হামলার মাত্রা কমিয়েছে মস্কো। খবর সিএনবিসির।

রুশ-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে একের পর এক উদ্যোগ যখন অসফল, তখন শঙ্কা ছিল ইস্তাম্বুল বৈঠক নিয়েও। তবে মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে আশার কথা শোনান সব পক্ষই। যুদ্ধবিরতির জন্য বিভিন্ন শর্তে একমত হয়েছে রুশ-ইউক্রেন। একমাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে প্রথমবারের মতো দেখা মিললো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতির।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসোগলু বলেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দু’পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে তারা একমতও হয়েছেন। এর মধ্যে যেসব বিষয়গুলো বেশি গুরুতর সেগুলো নিয়ে আলোচনায় বসবেন রুশ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আশা করা হচ্ছে দুই দেশের প্রেসিডেন্টও আলোচনায় বসতে পারেন।

রাশিয়ার দাবি, জোট নিরপেক্ষ দেশ হতে হবে ইউক্রেনকে। অর্থাৎ ন্যাটো কিংবা রুশ বিরোধী কোনো জোটে অংশ নেবে না ইউক্রেন। শর্ত মেনে নিয়ে কিয়েভ জানায়, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ দেশটিতে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালাবে না রাশিয়া। এক্ষেত্রে সমঝোতায় থাকতে হবে কানাডা, পোল্যান্ড, ইসরায়েল ও তুরস্কের মতো দেশগুলোকে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলেক বলেন, মস্কোর শর্তের বিপরীতে আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছি। অর্থাৎ কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হবে না ইউক্রেনে। ক্রাইমিয়ার মতো যেসব এলাকা রুশ দখলদারিত্বের মধ্যে রয়েছে সেসব এলাকা নিয়ে আলোচনা হবে মস্কোর সাথে। ১৫ বছর মেয়াদী এই আলোচনা চলাকালে সেখানে কোনো আগ্রাসন চালাতে পারবে না রাশিয়া।

রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেগুলো আমরা বিবেচনা করছি। আশা করছি সেই ইস্যুগুলোকে মাথায় রেখেই আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবো। এরই মধ্যে আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করে সেগুলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পাঠিয়েছি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply