স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফেনী:
ফেনী শহরের ফলেশ্বর এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে তারেক হোসেন নামের এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ভূক্তভোগী ফেনী ল্যাবরেটারী হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার (৩০ মার্চ) ভূক্তভোগী ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তিনি ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে ফলেশ্বরের মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন ঘরে ওই কিশোরীকে একা রেখে তার বড় ভাই সোহাগ কাজে চলে যান। আরেক ভাই সাইফুল স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করেন। বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী তারেক সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে ভূক্তভোগীকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তারেক পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী। অভিযুক্ত ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল।
ভূক্তভোগীর ভাই সোহাগ জানান, তার বোন, স্ত্রী ও ছোট ভাইসহ ফলেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে বসবাস করেন তিনি। ধর্ষক তারেক তাদের প্রতিবেশী বলে জানান তিনি।
ফেনী পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, তারেক যুবলীগের কোনো পদে নেই, সে যুবলীগের কর্মীও নয়। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত যুবলীগের সম্মেলনে ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল। যার কারণে স্থানীয়দের কাছে সে যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত।
অভিযুক্ত যদি দলীয় কর্মীও না হন তাহলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর জন্য ফরম নিয়েছে কীভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কার কাছ থেকে কীভাবে ফরম নিয়েছেন তা আমি জানি না।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) মধ্য রাতে ভূক্তভোগীর
পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে তারেক পলাতক আছে, তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
/এসএইচ
Leave a reply