সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইমরান খানের ভাষণ বাতিল

|

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি:সংগৃহীত।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে দিতে যাওয়া পূর্ব নির্ধারিত ভাষণ বাতিল করেছেন। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার আগে বুধবার (৩০ মার্চ) এ ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। ওইদিন দুপুরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটির সেনাপ্রধান এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের সাক্ষাতের পর ভাষণ বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। খবর এএফপির।

তেহরিক-ই-ইনাসাফ (পিটিআই) নেতা ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় ইমরান খানের ভাষণ বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট সরকার থেকে একের পর এক দল সমর্থন তুলে নেয়ায় তার ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে; এমনটা দাবি করা হচ্ছে দেশটির ও একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। তবে, অভাবনীয় কোনো ঘটনার অপেক্ষায় থাকা ইমরান খানের দাবি, বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।

গত সোমবার (২৮ মার্চ) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয় পার্লামেন্টে। কিন্তু পাল্টা সমাবেশ করে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।

এর একদিন পরেই বুধবারে পিটিআই নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যায় শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট। এরপর আরও তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনার পারদ। একই সিদ্ধান্ত নেয় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি। জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন ইমরানের মিত্র জামহুরি ওয়াতন পার্টি প্রধান শাহজাইন বুগতিও।

দুই দলে ১২ এমপির সমর্থন হারিয়ে পার্লামেন্টে ইমরানের জোটের আসন এখন ১৬৪। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে এমপির সংখ্যা ১৭৭। অথচ সরকার উৎখাতে প্রয়োজন ১৭২ জনের সমর্থন। এমনকি পিটিআই থেকেও এমপি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অনড় ইমরান অপেক্ষা করতে চান অনাস্থা ভোট পর্যন্ত। তাই শেষ মুহুর্তে নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। গণমাধ্যমে ইমরানের অভিযোগ, পশ্চিমা ষড়যন্ত্রেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ইমরান খানের দাবি, এই সংকটতো বিদেশি শক্তির সৃষ্টি করা। অনাস্থা ভোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এটা নিয়ে অস্থিতিশীলতা উসকে দিচ্ছে বিদেশি শক্তি। ওই শক্তি চায় আমরা সারাজীবন পশ্চিমা শক্তির অনুগত হয়ে থাকি। এই ষড়যন্ত্রের পক্ষে আমার কাছে তথ্য আছে, সেগুলো আমি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের দেখাবো।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটেছে বারবার। ভোটের মাধ্যমে দেশটিতে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় মাত্র একবার। বেসামরিক কোনো সরকারই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply