বহুরুপী এক প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক বিনিয়োগকারী এখন সর্বশান্ত। বিপুল অর্থ হাতিয়ে সস্ত্রীক লাপাত্তা মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী নামের এই প্রতারক। এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিনিয়োগকারীরা। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। তবে মিলছে না অভিযুক্ত দম্পতির সন্ধান।
শত কোটি টাকার পুরনো একটি জাহাজ কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির জন্য সীতাকুন্ডের কুমিরায় সমুদ্র উপকুলবর্তী খাজা শিপইয়ার্ডে আনা হয় ২০১৫ সালে। কয়েক মাসের মধ্যে এমন আরও জাহাজ আনার প্রলোভন দেখিয়ে আবদুল হাকিম শাহসহ ৯ ব্যক্তিকে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দেন মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। প্রত্যেকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এখন তিনি।
একই ভাবে জাহাজটি দেখিয়ে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, আবদুর রহিম শাহসহ আরও ৬ ব্যক্তির কাছ থেকে নেন ২ কোটি ৯ লাখ টাকা। অথচ নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় খাজা নামে শিপইয়ার্ডের অস্তিত্বই নেই।
শুধু শিপইয়ার্ড নয়, চট্টগ্রাম নগরীর বারৈইয়ার হাট এলাকার একটি জায়গার ভুয়া দলিল দেখিয়ে অন্তত ১০ জনের কাছে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারিতরা এখন খুঁজছেন মেজবাহ ও তার স্ত্রীকে।
২ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫টি চেক প্রতারণার মামলায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি, মেজবাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তিনটি থানায়।
আত্মসাৎ করা টাকায় মেজবাহ এবং তার স্ত্রী জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। হালিশহরে এক বাসায় তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে বক্তব্য জানতে গেলে, তেড়ে আসেন কাদের নামে এক ব্যক্তি। তবে পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত দম্পতিকে।
এসজেড/
Leave a reply