যৌনকর্মীদের কারণেই নারীরা এত নিরাপদ: মিথিলা

|

ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ হিসাবে পরিচিত ‘মন্টু পাইলট’। এর প্রথম পর্বটি অশ্লীল সংলাপ ও দৃশ্য এবং গালাগালির জন্য দর্শকের কাছে সমালোচনার শিকার হয়েছিল। অনেকে আপত্তি তুলে এটি নিষিদ্ধের দাবিও করেছিলেন। তবে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া সেই ‘মন্টু পাইলট’ আবার ফিরছে। সিক্যুয়েলে নতুন গল্প নিয়ে আসছে। এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরই মধ্যে ওয়েব সিরিজটির শুটিং শেষ হয়েছে। চলছে মুক্তির অপেক্ষা।

সিরিজটিতে কাজ করতে গিয়ে মিথিলাকে থাকতে হয়েছে যৌনপল্লী নীল কুঠিতে! যৌনপল্লীতে শ্যুটিং করতে গিয়ে সেখানে বসবাসের অভিজ্ঞতার কথা
আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন মিথিলা। তিনি বলেন, গল্পটি শোনার পর এক মুহূর্তের জন্য কোনো দ্বিধা, জড়তা কাজ করেনি। এটা সমাজের একটা বাস্তব চিত্র। একটা অবহেলিত গোষ্ঠীর গল্প। আমি মনে করি, সমাজে প্রতিটি পেশার মানুষের মতো যৌনকর্মীদেরও অবদান আছে। ওরা (যৌনকর্মী) আছে বলেই নারীরা এত নিরাপদে আছেন।

মিথিলা আরও বলেন, মানুষ কেন যৌনকর্মীর জীবন দেখবে না? কেন তাদের কষ্ট বুঝবে না? আমাদের পাশে কেন ওরা জায়গা পাবে না? সেসব বিষয় নিয়ে এই সিরিজটি হয়েছে। যৌনপল্লীর প্রকৃত চেহারা বা পরিবেশই এই সিরিজে দেখানো হয়েছে।

সিরিজে খোলামেলা পোশাক ও চুম্বন দৃশ্য নিয়েও কথা বলেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, আমি ঠিক জানি না, তথাকথিত ‘সাহসী’ কাকে বলে? চরিত্রের খাতিরে যেটা আমায় করতে হবে আমি সেটাই করবো। একজন অভিনেতার সেটাই করা উচিত। রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’ ছবিতেও আমাকে যেভাবে দেখা যাবে সেটা যথেষ্ট সাহসী। আমায় এর আগে ওই চরিত্রে, ওই সাজে কেউ দেখেননি। সাহসী মানেই খোলামেলা পোশাক আর চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় কিন্তু নয়। আমি অন্তত তেমনটাই মনে করি।
আরও পড়ুন: এবার ‘মন্টু পাইলটের’ খোলামেলা পোশাক ও চুম্বন নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply