গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২৬ বছরের বাক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি মাসুদ মিয়াকে তিন সপ্তাহেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১১ মার্চ রাতে সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দ রুহিয়া গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। অভিযুক্ত আসামি মাসুদ মিয়া খোর্দ্দ রুহিয়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।
বাদীর অভিযোগ, ৮ বছর আগে খোর্দ্দ রুহিয়া গ্রামের একজনের সঙ্গে তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে হয়। জীবিকার তাগিদে জামাই ঢাকায় থাকলেও তার মেয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। গত ১১ মার্চ রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মেয়ে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় তার মুখ চেপে ধরে মাসুদ মিয়া। পরে মাসুদ তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নিজ বসতবাড়ির হাফ বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বাড়ির লোকজন ভোর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করেও মেয়ের সন্ধান পায়নি। এরপর সকালে মেয়ে কান্না করে বাড়িতে এসে ইশারা-ইঙ্গিতে ঘটনা তার শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়।
বাদী আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি। কিন্তু ঘটনার তিন সপ্তাহ হলেও মাসুদকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঘটনার পর মাসুদ আত্মগোপনে থাকলেও লোক মাধ্যমে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। এতে তার মেয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত মাসুদকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমারকে ফোন করা হলে তিনি ছুটিতে বলে জানান উপ-পরির্দশক (এসআই) মশিউর রহমান। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত মাসুদ। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেডআই/
Leave a reply