ডারবান টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ২৭৪ রান। মিরাজ-ইবাদতদের দারুণ বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় শেষ হয়ে যায় ২০৪ রানে। একদিনের কিছুটা বেশি সময়ে টিকে থাকার সাথে জয়ের জন্য ২৭৪ রানের দিকেও হয়তো চোখ রাখবেন জয়-লিটনরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ২০৪ রানের মধ্যে আটকে রাখতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছেন টাইগার বোলার-ফিল্ডাররা। একমাত্র ব্যাটার হিসেবে অর্ধ শতক পেয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। রায়ান রিকেলটন, কিগান পিটারসেনরা লড়াই করলেও খুব বেশি সময় উইকেটে টিকে থাকা বা বড় সংগ্রহ কোনোটিই সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে। এক পর্যায়ে ১ উইকেটে ১১৬ রান থেকে ২০৪ রানে সবকটি উইকেট হারানোই সাক্ষ্য দেয়, বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে সমান তালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়া ও ম্যাচ জয়, দুটোই এখন খুবই সম্ভব মমিনুল হকের দলের জন্য।
আগের দিনের ৭৫ রানের লিড নিয়ে খেলতে নামে প্রোটিয়ারা। ৮ রান করা সারেল আরউইকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। তারপর সাফল্য পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। এরপর দুবার জীবন পাওয়া ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন যোগ করেন ৬৮ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৬৪ রান করা ডিন এলগার শেষ পর্যন্ত ফেরেন তাসকিনের বলে। তারপর মেহেদী মিরাজের বলে শর্ট লেগে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কিগান পিটারসেন। তিনি করেন ৩৬ রান।
এরপর ইয়াসির আলী রাব্বি যে ক্যাচে টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়েছেন, সেটাই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের শরীরী ভাষা। তারপর রায়ান রিকেলটনই কেবল কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে টিকে ছিলেন উইকেটে। কাইল ভেরাইন্না ও উইয়ান মুল্ডারকে তুলে নেন মেহেদী মিরাজ। সিমন হারমার ও লিজাড উইলিয়ামস হন রান আউট। মিরাজ ও এবাদত নেন ৩টি করে উইকেট। ইনজুরি সত্ত্বেও চিকিৎসা নিয়ে বোলিং করে যাওয়া তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন দুটি উইকেট।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে দ্বিতীয় টেস্ট না খেলেই দেশে ফিরবেন তাসকিন ও শরিফুল
এম ই/
Leave a reply