চাষির ক্ষেতভর্তি তরমুজ কিনে পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে বাজারে, অজুহাতের পাহাড় বিক্রেতাদের

|

ফাইল ছবি।

ক্ষেতভর্তি তরমুজ একবারেই দরদাম করে বিক্রি তরে দেন চাষিরা। এরপর তা বাজারে পিস হিসেবে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দাম নির্ধারণ করছেন ইচ্ছামতো। আড়ত-পরিবহন খরচসহ দেখানো হচ্ছে নানা অজুহাত। যদিও রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকি চলছে বলে দাবি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের।

ভোলার চরফ্যাশনে বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজের, মিলছে ভালো দামও। উৎপাদন খরচ মিলিয়ে চাষিরা দাম নির্ধারণ করেন। পাইকারদের সাথে চলে দর কষাকষি। এরপর মাঠ থেকে কিনে আনা হয় আড়তে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে তরমুজ নৌপথে প্রতিনিয়ত আসছে মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীপাড়ে মুক্তারপুর হাটে। এই হাটে বেড়েই চলেছে দাম। বিক্রি হচ্ছে পিস হিসেবে। মুক্তারপুর হাটের তরমুজ চলে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেখানে দাম আরও চড়া।

এসব তরমুজের দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে আকৃতি দেখে। পাইকারদের দাবি, ক্রয়ের সাথে আড়তের খরচ যুক্ত হয়ে দাম বাড়ছে। পাশাপাশি পরিবহনব্যয়সহ নানা অজুহাতে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। খুচরা পর্যায়ে তা আরও বেশি।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকি চলছে। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাকা রশিদ নিতে হবে। সেই সাথে তারা যেখান থেকে মাল কিনে আনছে, তাদেরকেও অবশ্যই পাকা রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply