ফলো অনের শঙ্কায় বাংলাদেশ, ভরসা এখন মুশফিক

|

সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে সাজঘরে ফিরছেন তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

এঁবেখা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ফলো অনের শঙ্কায় পড়েছে মুমিনুল বাহিনী। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে করা ৪৫৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের আরেকবার ব্যাট করাতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ১১৫ রান। ফলো অন এড়ানো এবং টেস্ট বাঁচাতে এখন বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ক্রিজে টিকে আছেন মুশফিকুর রহিম।

২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ করা কাইল ভেরাইন্না আর উইয়ান মুলডার শুরু করেন দ্বিতীয় দিনের খেলা। ব্যক্তিগত ২২ রানে খালেদ আহমেদের শিকার হয়ে ফেরেন কাইল ভেরাইন্না। আর ৩৩ রান করা মুলডারকে তাইজুল ফেরালে ৩৮০ রানে ৭ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৮৪ রান করা কেশব মহারাজকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে পঞ্চম শিকার পূর্ণ করেন তাইজুল। এটি তার ক্যারিয়ারে দশম ৫ উইকেট শিকার। এরপর হারমারকে আউট করে নিজের দেড়শ’তম উইকেট দখল করেন তাইজুল।

৪৫৩ রানের জবাবে, শুরুতেই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তামিম ইকবালের পাল্টা আক্রমণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি গত টেস্টে সাফল্য পাওয়া সাইমন হারমার। সেই সাথে মহারাজ-লিজাড উইলিয়ামসদের ভালোভাবেই সামলিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান যোগ করেন তামিম ও নাজমুল শান্ত। এরপর উইয়ান মুলডারের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। তার দেখানো পথে হাঁটেন নাজমুল। একই বোলারের বলে একইভাবে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আউট হন ৩৩ রানে। দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার না করে উল্টো দুর্দশা বাড়িয়ে মাত্র ৬ রান করে একই বোলারের বলে একইভাবে আউট হন তাইগার দলপতি মুমিনুল হক। ব্যাডপ্যাচকে পাত্তা না দেয়ার ইঙ্গিত তিনি যতোই করুন না কেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে মুমিনুলের বাজে ফর্মের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটে।

অলিভিয়েরের বলে ছত্রখান হয়ে যাওয়া স্ট্যাম্পের দিকে তাকিয়ে লিটন দাস। ছবি: সংগৃহীত

অন্যতম ইনফর্ম ব্যাটার লিটন দাস শুরু করেছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই। কিন্তু পেসার ডুয়াইন অলিভিয়েরের স্ক্র্যাম্বল্ড সিমের ইনসুইঙ্গারে ছত্রখান হয়ে যায় লিটনের মিডল স্ট্যাম্প; আর বড় ধাক্কা খায় টাইগারদের ফিরে আসার সম্ভাবনা। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৩১৪ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই ফলো অন এড়ানোই হবে। আর তাতে ইয়াসির আলি রাব্বীকে সাথে নিয়ে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিমের কাঁধে গুরুদায়িত্ব।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply