রফতানির মাঝপথে অর্ধেক গায়েব, কোথায় যাচ্ছে পোশাকগুলো?

|

গার্মেন্টেসের রফতানি পণ্য মাঝপথে অর্ধেক গায়েব। যা ধরা পড়ছে শিপমেন্ট হয়ে পণ্য বিদেশি চলে যাওয়ার পর। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে পোশাক শিল্প। সম্প্রতি এমনই এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। গ্রেফতার হয়েছে চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জন।

গত বছরের মে মাসে নারায়ণগঞ্জের ফেইম গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের উৎপাদিত পোশাক চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে জার্মানি পাঠায়। পণ্য পৌঁছানোর পর জার্মানি থেকে বায়ার ইমেইলের মাধ্যমে জানায় অন্তত ৮০ লাখ টাকার মালামাল নেই। এতে আকাশ ভেঙে পড়ে ফেইম অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মাসুদ আলম কাজলের মাথায়। ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি।

তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই। দীর্ঘ সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করেছে সংস্থাটি। জানা গেছে, চক্রটি কাভার্ড ভ্যান চালকের সাথে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করে। রাতে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় কাভার্ড ভ্যানটি তাদের ভাড়া করা গোডাউনে ঢুকিয়ে দেয়। পরে প্রতিটি কার্টন থেকে এক তৃতীয়াংশ মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়।

ঢাকার মিরপুর, সাভার, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতা সোহেল সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় গাজীপুর, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামেও সক্রিয় এই চক্রটি। আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের এসপি মনিরুল ইসলাম।

গার্মেন্টেস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলছেন, এভাবে রফতানির পণ্য চুরি হতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়বে দেশের পোশাকশিল্প খাত।

পিটিসি, গামেন্টস পণ্য চুরির এই ভয়াবহ চক্র শুধু চুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের কাজে কেউ বাধা দিলে তাকে তারা হত্যাও করে। বিভিন্ন সময় মহাসড়কের পাশ থেকে যেসকল অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হয় সেগুলোর সাথে এসব চক্রের সম্পৃক্ততাও রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply