সড়কে গণপরিবহন নয় ব্যক্তিগত গাড়িই নামছে বেশি। প্রতিদিন দেশের সড়কে নতুন করে নামছে ১ হাজার ৪০৯টি মোটরসাইকেল, ৫০টি প্রাইভেট কার আর ১০টি করে বাস। প্রাইভেট কারের আধিক্য ঢাকার রাস্তায় যানজটের অন্যতম কারণ। ফলে সামনে রাজধানীর যানজট সমস্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাইভেট গাড়ি নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে সড়কের সীমাবদ্ধতা ও পরিমাণ বিবেচনা করা উচিত।
দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এখন মোটরসাইকেল হয়ে উঠছে অন্যতম বাহন। আর নানা কারণে চাহিদা রয়েছে প্রাইভেট কারেরও। এ কারণেই বেড়েছে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের কেনাবেচা। বিআরটিএর হিসাব বলছে, প্রতিদিন রাস্তায় ১ হাজার ৪০৯টি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ৫০টি, আর বাস নামছে ১০টি। তবে এর ৩ ভাগের ১ ভাগই ঢাকায়। বিআরটিএ পরিচালক মোহাম্মাদ মাহবুব ই রব্বানী বলছেন, যেহেতু এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়লে কিছু করারও নেই। তবে মেট্রোরেল জাতীয় ম্যাস ট্রানজিট বাড়লে এ প্রবণতা কমতে পারে বলেও আশাবাদ তার।
সড়ক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ মনে করছেন, অনিয়ন্ত্রিত প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়াই যানজটের অন্যতম কারণ। তাই এসব গাড়ি নিবন্ধন দেয়াকে সীমিত করার পরামর্শ তার। ঢাকায় কত গাড়ি চলতে পারে সেটা বিবেচনা করে গাড়ির অনুমোদন দেয়া উচিত।
এদিকে পাবলিক পরিবহনে বৈচিত্র্য ও মানের উন্নতি না হলে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতেই থাকবে বলে মনে করছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। পরিবহনের বিশৃঙ্খলা বাড়াতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকেই দায়ী করলেন তিনি, মাত্রাহীন দুর্ঘটনার জন্যই একই কারণকে দায়ী করলেন তিনি।
ব্যক্তিগত পরিবহন কমানো সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে বিআরটিএ। তবে আশাবাদ মেট্রোরেল ও অন্যান্য অবকাঠোমো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট কিছুটা হ্রাস পাবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply