বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন মা, এসে দেখলেন দুই ছেলে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ছোট ছেলেকে

|

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী:

মা গিয়েছিলেন তার বাবার বাড়িতে। ফিরে এসে দেখলেন ছোট ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তারই দুই ছেলে। বিদ্যুতের মিটার কেটে নেয়ার ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বড় দুই ভাই মিলে উপর্যুপরি পিটিয়ে ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরার হাইরমারায়। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাইরমারা ইউনিয়নের দড়ি হাইরমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১১ এপিল) বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ওই যুবকের নাম মো. শফিকুল ইসলাম শফিক (২৬)। তিনি রায়পুরার হাইরমারা ইউনিয়নের দড়ি হাইরমারা গ্রামের মৃত মোরশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারে মালামাল পরিবহনের কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন, মাসুম মিয়া ও মোতালেব মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার নিয়ে ওই তিন ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিল। সম্প্রতি শফিকুল স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে তাদের বাড়ির বিদ্যুতের মিটার কেটে নেয়ার আবেদন করেন। গতকাল দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এসে বাড়িটির মিটার কেটে নিয়ে যায়। এ সময় অবৈধভাবে ব্যবহার করা মাসুম ও মোতালেবের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা। এ নিয়ে শফিকুলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন মাসুম ও মোতালেব।

গতকাল রাতে এ নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বাকবিতণ্ডা কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতিতে রূপ নেয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে মাসুম ও মোতালেব লাঠি নিয়ে শফিকুলের ওপর চড়াও হন। তারা শফিকুলের সারা শরীরে উপর্যুপরি পেটান। এক সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু হলে ওই দুই ভাই পালিয়ে যান।

আজ সকালে এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শতাধিক লোক ওই বাড়িটিতে জড়ো হয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে রায়পুরা থানা পুলিশে খবর দেন। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনাস্থলে থাকা রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, যুবকের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply