ধর্মীয় ভেদাভেদ বা বৈষম্য থাকবে না। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। বিদেশি ঋণ নিয়েও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে, চৈত্র সংক্রান্তি সন্ধ্যায় দেশবাসীর মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গাব্দ ১৪২৯ সালের আগমনে শুভ নববর্ষ এবং সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুরু করেন তার বক্তব্য। সারা বছরের ক্লেদ, জরা, গ্লানি-হতাশা ভুলে নববর্ষের উদ্দীপনায় মেতে ওঠার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির সার্বজনীন এ উৎসব নতুন উদ্যমে বাঁচার শক্তি যোগায়, স্বপ্ন দেখায়। পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে স্বাজাত্যবোধ ও বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামারিজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমার সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ২৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এতে প্রায় ৬ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের মধ্যেই মেট্রোরেলসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তারপরেও কেউ কেউ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এসব বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে। আমরা বিদেশি ঋণ নিচ্ছি। তবে তা যেন বোঝা না হয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ভাবনা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অর্থনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রেখে মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার ফলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ধর্মীয় ও সাংবিধানিক কারণে সমকামিতার অধিকার স্বীকৃতির সুযোগ নেই’
এম ই/
Leave a reply