ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দামাদামি করার পর দোকান থেকে জুতা না কেনায় রাসেল হোসেন (২২) নামে এক যুবক ও তার মা রাবিয়া খাতুনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের মধুগঞ্জ বাজার এলাকায় সুলতান সু স্টোরে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন রাবিয়া খাতুন। রাবিয়া খাতুন উপজেলার রোকনপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগে রাবিয়া খাতুন উল্লেখ করেছেন, গ্রাম থেকে শুক্রবার বিকেলে তিনি দুই ছেলে ও মেয়ে জামাইকে নিয়ে ঈদের বাজার করতে যান। এ সময় দামাদামি করার পর জুতা না কেনায় সুলতান সু স্টোরের মালিক সোলাইমান ও তার ছেলে আবির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করে তারা। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশ থেকে ইরফান রাজা রুকু, লিটন হোসেনসহ ৮-৯ জনের একটি দল চলে আসে। এ সময় ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে রুকু নামের একটি ছেলে।
রাবিয়া খাতুন জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথে ছন্দা সিনেমা হলের সামনে রিকশা থেকে নামিয়ে তার ছেলেকে আবারও মারধর করে রুকু ও তার সহযোগীরা। ছেলেকে রক্ষা করতে আবার এগিয়ে গেলে এ সময় তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে নেয় রুকু। ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার বন্ধকী ফেরত নেয়ার ৩০ হাজার ৬০০ টাকা ছিল। এরপর ছেলেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তিনি।
সুলতান সু স্টোরের মালিক সোলাইমান হোসেন জানান, জুতা কেনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে ওই মহিলার সাথে থাকা যুবকটি তাকে একটি ঘুষি মারেন। এরপর তার ছেলে আবির তাকে ধরে ফেলে। এর বেশি কিছু হয়নি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, রাবিয়া নামের এক নারী অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেডআই/
Leave a reply