গ্রীষ্মের শুরুতেই রেকর্ড ছুঁয়েছে রাজশাহীর তাপমাত্রা

|

৮ বছর পর রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। আর ৭৪ বছরের মধ্যে তা তৃতীয়বার। রাজশাহীতে এ মৌসুমে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। উচ্চ তাপপ্রবাহের এই মাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে তাপদাহে অসুস্থতা বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবন ও জীবিকায়।

২০১৪ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। এর আগে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭০ এর দশকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও এ বছর চৈত্রের শেষ থেকেই রোদ আগ্রাসী, তাপমাত্রাও বাড়ন্ত। ইতোমধ্যে টানা তাপদাহে অসুস্থ হয়ে এ মাসে মারা গেছেন ৫ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন বয়সী আরও শত শত রোগী। এর মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী বলছেন, তাপমাত্র এমন হলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তার প্রস্তুতি হিসেবে হাসপাতালের বিছানা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের স্টেশন ইনর্চাজ আবু সাঈদ মিয়া জানালেন, ভৌগোলিকভাবেই এখানকার তাপমাত্রা বেশি। তাছাড়া গাছপালা কমে যাওয়া, নদী শুকিয়ে যাওয়া, নগরায়ন ও মরুকরণের ফলে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, হঠাৎ বৃষ্টি তাৎক্ষণিক প্রশান্তি আনলেও শিগগিরই খুব একটা হেরফের হচ্ছে না চলমান তাপদাহের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার অধ্যাপক আব্দুল্যাহ আল মারুফ জানালেন, শীতকাল যত দ্রুত স্থানান্তর হয়, গরমকালের স্থানান্তরের গতি তারচেয়ে বেশ ধীর। ফলে কোনো অঞ্চলে গরম পড়লে খুব শীঘ্রই সেটি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাপমাত্রা যখন ঊর্ধ্বমুখী, মাটির নিচের পানির স্তর তখন তেমনই নিম্নগামী। হিসেব বলছে, এ অঞ্চলে পানির স্তর নেমেছে মাটির ১৭০ ফুট। রাজশাহী নগরীতেই প্রতিবছর পানির স্তর ৬ থেকে ৮ ফুট নামছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply