স্ত্রী ও তিন মেয়েকে গলা কেটে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে প্রয়াগরাজে একই পরিবারের ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিদিন অশান্তি লেগে থাকতো যে বাড়িতে এদিন সকালে দেখা যায় সেই বাড়ি শান্ত। সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা বাড়িতে উঁকি মারতেই চমকে যান। দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। এরপরেই পুলিশে খবর দেয়া হয়। একসঙ্গে পরিবারে পাঁচজনের মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়াগরাজের নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত খাগলপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের কর্তা, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী মহিলা ও তার ১৪, ১০ ও ৮ বছরের তিন মেয়ের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্য দিকে গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বারান্দা থেকে।
পুলিশের বক্তব্য, ঠিক কী কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও অনুমান করা হচ্ছে গৃহকর্তাই স্ত্রী ও তিন কন্যাকে ধারালো কিছু দিয়ে গলাকেটে খুন করেন। শেষে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফরেনসিক দল ও ডগ স্কোয়াডকে তদন্তে কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রয়াগরাজের এসএসপি অজয় কুমার জানান, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরিবারের কর্তার নাম রাহুল। তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পাশেই তিনটা চেয়ার রাখা ছিল। অনুমান করা হচ্ছে রাহুল আত্মহত্যা করেন। তদন্তের জন্য সাতটি আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা অস্ত্রবাহী ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজ ভূপাতিত করা হয়েছে: রাশিয়া
ইউএইচ/
Leave a reply