নীলফামারীতে এক রাতে ১৫টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরি

|

নীলফামারীতে একই রাতে ১৫টি কঙ্কাল চুরির ঘটনায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।

নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীর হযরত মহিউদ্দিন চিশতি (রঃ) কুন্দপুকুর মাজারের কবরস্থান থেকে ১৫টি কঙ্কাল চুরির সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা। আরও একটি কবরের ওপর থেকে ভেতরে থাকা মৃতদেহের দাড়ি ও হাড় দেখা গিয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে নীলফামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ  আব্দুর রউফ।

 কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে আমার বাবা আব্দুর রশিদ মারা যান। সকালে কবরস্থানের মঙ্গলবার একটি কবর খোড়া অবস্থায় আমার চোখে পড়ে। কবরস্থানের একটু ভেতরে গিয়ে দেখি কবর খোঁড়া ও কবরের বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে নিচে পড়ে আছে। আমার বাবার কবরটিও একই ভাবে খোড়া অবস্থায় দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের জানানো হলে অন্তত ১৫টি কবর খোড়া অবস্থায় আবিস্কার করি আমরা।

 একই এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, আমার শ্বাশুড়ি দেড় বছর আগে মারা যান। খবর পেয়ে এসে দেখি কবরের মাঝ বরাবর খোড়ার দৃশ্য। সেখানে কঙ্কাল ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনোয়ারুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, একসাথে আমার পরিবারের পাঁচ সদস্যের কবর ছিল। এখান থেকে দুইজনের কবর খুড়ে কঙ্কাল নিয়ে যাওয়া হয়। আমার বাবা ও ফুফুর কবর খোড়া হয়েছে।

সোহরাব হোসেন নামের আরেক স্থানীয় জানান, আমার বাবা আজাহার আলী ও বোন জিন্নাহ খাতুন দুই বছরের আগে মারা গেছেন। এই কবরস্থানেই তাদের দাফন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের কবর দুটিও খোড়া অবস্থায় দেখতে পাই।

কুন্দপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত একটি দৃস্কৃতিকারী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যেসব কবর খোড়া হয়েছে সেগুলোর প্রতিটির বুক বরাবর খোড়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি নিশ্চয় দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল, বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুন্দপুকর মাজার কমিটির সভাপতি শাহিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, কবর খুড়ে আবার তারা মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে গেছে। কয়েকটি খোলা ছিলো। খোলা থাকারর কারণে বিষয়টি জানা যায়। বিষয়টি সুদুর প্রসারী আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 জানতে চাইলে  নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply