রিয়াজ রায়হান:
আবারও এলাকায় ফিরছে নোয়াখালী উপকূলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। করোনাকালে কর্ম হারিয়ে এলাকায় গিয়ে পুরানো পেশায় ফিরছে তারা। গঠন করছে ছোট ছোট গ্রুপ। অনেকদিন ব্যবহার হয়নি, তাই পড়ে থাকা অস্ত্রগুলোতে কোনটিতে জং ধরেছে, কোনটি এখনও সচল। এতোদিন এলাকার বাইরে স্বাভাবিক জীবনে ছিল এই অবৈধ অস্ত্রের মালিকরা। করোনাকালে কেউ কেউ ফিরেছেন এলাকায়। আবারও যাত্রা অন্ধকার চোরাগলিতে।
অন্ধকার পথে ফিরে যাওয়া একজন জানালেন, আগে শহরে চাকরি বাকরি করতেন তিনি। তবে করোনায় চাকরি হারিয়ে এখন আবার পুরানো পেশায় ফিরেছেন তিনি। বললেন, সংসার তো চালাতে হবে! দলপ্রধান যে নির্দেশ দিচ্ছেন, তাই করছেন তারা। যার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে বলা হচ্ছে, তার কাছে আদায় করছেন চাঁদা। যে চাঁদা দিচ্ছে না, তাকে মারধর করতে বলা হলে তাই করছেন তারা।
নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা, সুবর্ণ চর ও হাতিয়া উপকূলের অন্তত ছয়টি চরের বেশ কয়েকজন পুরনো অপরাধী আবারও এলাকায় সক্রিয়। জড়িয়েছে ডাকাতি ও দস্যুতায়। অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধে কমিউনিটি পুলিশিংসহ নানামুখী কার্যক্রম চলমান বলে জানান নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম। এই পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এলাকায় কোনো অপরাধীকে দেখলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ কর্মকর্তাদের।
/এডব্লিউ
Leave a reply