মারিওপোলের আজভস্টাল প্ল্যান্টের দখল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

|

ছবি: সংগৃহীত

মারিওপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্টের ভেতর থেকে রুশদের বিরুদ্ধে চলছে ইউক্রেনীয়দের সর্বশেষ প্রতিরোধ। আজভ রেজিমেন্টের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্টিল প্ল্যান্টের ভেতর থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও রুশ সেনাদের প্রতি করছে গুলি বর্ষণ। তবে ভিডিওটির সত্যতা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসি।

মারিওপোলের বিশাল এই স্টিল প্ল্যান্ট এখন শহরটিতে রুশদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের সর্বশেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি হিসেবে টিকে আছে। রাশিয়াও এখনও পারেনি এই স্টিল প্ল্যান্ট দখল করতে। এই প্ল্যান্টটি বন্ধ করার পরিবর্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে অভিযান বন্ধ করার আদেশ দিয়েছেন। জেনে নেয়া যাক, কী কী কারণে মারিওপোলে ইউক্রেনীয়দের সর্বশেষ এই ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ধাতব পণ্য তৈরির কারখানা হচ্ছে আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট। এই কারখানার মোট আয়তন প্রায় ১০ বর্গ কিলোমটার। ভূগর্ভস্থ কক্ষ ও সুড়ঙ্গের বিশাল জাল রয়েছে এই আজভস্টাল কারখানায়। এই সুড়ঙ্গের বিস্তার প্রায় ২৪ কিলোমিটার। আর বোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য এসব কক্ষ ও সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে কয়েকশো ইউক্রেনীয়।

ম্যাক্সার স্যাটেলাইট ইমেজে আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ খাদ্য এবং পানীয়র বিশাল মজুদ রেখে দেয় এই স্টিল প্ল্যান্টে। দেশটির সামরিক বিশেষজ্ঞ ওলেহ ঝাদানভ বলেন, আয়তনে এই কারখানা বিশাল। ইউক্রেনীয়রা বেশ দ্রুত এর ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। তাছাড়া আজভস্টাল অনেকটাই দুর্গের মতো। এই স্থান দখল করতে রুশদের জীবন ও সম্পদ হারানোর ঝুঁকি না নিয়ে উপায় নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সময়। এটি যেন শহরের মধ্যে শহর। এই জায়গা দখল করতে কয়েক মাসের বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে।

ওলেহ ঝাদানভ আরও বলেন, যতদিন আজভস্টাল টিকে থাকবে রাশিয়া তাদের আরও ১০-১২টি এলিট ইউনিটকে ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তে নিযুক্ত করতে পারবে না। আর এ কারণেই, শহরটি রুশ সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে এবং দোনবাস আক্রমণের জন্য ক্রেমলিনের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ৭ শ’র বেশি বেসামরিক নিহত চেরনিহিভে, কবর খোঁড়া অব্যাহত

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply